করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লড়ছে বাংলাদেশ। মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করা সেই লড়াইয়ের অন্যতম হাতিয়ার।
আসুন সকলে মাস্ক পরি, একে অপরকে সুরক্ষিত রাখি।
গরম লাগে, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট- তবু মোঃ মহিউদ্দিন কেন তার দোকানে সারাদিন মাস্ক পরে বসে থাকেন? কেন-ই বা অন্যদেরও তার কথা শোনা উচিত?
রিকশা চালানো অনেক মেহনতের কাজ, কষ্টের কাজ- তবু আইয়ুব আলী রিকশা চালানোর সময় মাস্ক খোলেন না।
মাস্ক পরা থাকলে অনেকে অনেক কথাই বলে, কথা বলার সময় বন্ধুরা বুঝতে না পারলে টিটকারি করে- তবু ইমন সরকার ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক খোলেন না।
গরম তো লাগছেই, নিজের নিঃশ্বাসটা আবার নিজের ভেতরেই চলে যাচ্ছে- তবুও ব্র্যাককর্মী মোঃ হাসানুজ্জামান সবাইকে বারবার বলেন ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরার কথা।
মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তারা বগুড়া শহরে প্রায় ২ লক্ষ মাস্ক বিতরণ করেছেন, মানুষকে মাস্ক পরতে উৎসাহ দিয়েছেন, মাস্ক পরা শিখিয়েছেন- তবু ব্র্যাককর্মী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এখনও রোজ সবাইকে মনে করিয়ে দেন ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরার কথা।
Aarong-এর একটি শাখার তিনি ম্যানেজার; নিজে সুরক্ষিত থাকার জন্য এবং অন্যদেরও ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্য মহামারির শুরু থেকেই সচেতনভাবে মাস্ক পরছেন খালেদা রউফুন নাহার।
মহামারির শুরু থেকেই তিনি সবার কাছে শুনে আসছেন মাস্ক পরলে গরম লাগে, বিরক্ত লাগে - তবু ব্র্যাককর্মী অনীতা রাণী বারবার এখনও সবাইকে বলেন ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরার কথা।
ব্র্যাককর্মী রবীন কুমার দাস এই করোনার সময় বাইরে গেলে আর মাস্ক খোলেন না- এই অভ্যাস তার কী করে হলো? চাইলেই কী এমন সম্ভব?
মাস্ক শুধু নিজের জন্য নয়, আশেপাশের মানুষের নিরাপত্তার জন্যেও পরা উচিত- এমনটাই মনে করেন ব্র্যাককর্মী মাহজুজ আলী।
নিজের পরিবার এবং আশেপাশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরা উচিত- এমনটাই মনে করেন ব্র্যাককর্মী পূর্বা চৌধুরী জয়া।