দ্য গুড ফিড: ক্রিস্টিনা, বিশ্বের সর্ববৃহৎ পরিবারে আপনাকে স্বাগতম! প্রথমে আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে চাই এবং ব্র্যাকের জন্য সেটা কীভাবে কাজে লাগতে পারে বলে মনে করেন?
ক্রিস্টিনা চ্যান: কলেজে পড়ার সময় থেকেই আমার মধ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে কাজ করার আগ্রহ তৈরি হয়। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন পর নেপালে একটি শিক্ষাসফরে গিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। বিকল্প জীবিকা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণের মধ্যে সমন্বয়ের গুরুত্ব বুঝতে শিখি। এই অভিজ্ঞতা থেকে নেপালে একটি ফুলব্রাইট ফেলোশিপ নিই। সেখানে স্বাধীনভাবে পরিচালিত একটি গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক অনুসন্ধান করি—বিশেষ করে আন্তঃ-নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে। এ ছাড়া আমি নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিষয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছি এবং পরিকল্পনার মতো বিষয় বেশ ভালোভাবে বুঝতে শিখেছি। যার মধ্যে ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনার গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য। একই সঙ্গে শিখেছি পরিকল্পনা কীভাবে সামাজিক নিয়মের মাধ্যমে পরিচালিত হতে পারে এবং পরিবর্তন কিংবা সামাজিক রীতিনীতি তৈরির হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
আমি মূলত ডেভেলপমেন্ট (উন্নয়নমূলক) অ্যান্ড হিউম্যানিট্যারিয়ান (মানবিক) ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে জলবায়ু সেক্টরে কাজ করতে এসেছি। আমার মনে হয়, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কাজের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা খুব একটা ঘটে না। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কাজ করা বেশিরভাগ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মূলত পরিবেশ-বিষয়ক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসে। স্বাভাবিকভাবেই আমার ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে আমি অভিযোজন এবং ক্ষয়-ক্ষতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হয়েছি। এ ছাড়া আমার পলিসি অ্যাডভোকেসি নিয়ে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মাঠপর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে একজন নীতিনির্ধারক এবং দাতা হিসেবে বহুমূখী দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করেছি। এ ছাড়া ন্যায়বিচার ও সাম্যের বিষয়েও আমার প্রচণ্ড আগ্রহ রয়েছে, ব্র্যাকের উদ্দেশ্যের সঙ্গেও যার মিল আছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জলবায়ু-বিষয়ক টিমের অন্যতম অ্যাডভাইসর হিসেবে কাজ করেছেন ক্রিস্টিনা চ্যান
দ্য গুড ফিড: আপনি ব্র্যাক সম্পর্কে কীভাবে জেনেছেন। কেন এই পদের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং কোন বিষয়টি আপনাকে ব্র্যাকের প্রতি আগ্রহী করে তোলে?
ক্রিস্টিনা চ্যান: কর্মজীবনের প্রথম দিকে আমি কেয়ার-এ কাজ করেছি। সে সময় প্রতিনিয়ত আলোচনায় নানাভাবে ব্র্যাকের প্রসঙ্গ এসেছে। বিভিন্ন সহকর্মীদের মাধ্যমেও আমি ব্র্যাক সম্পর্কে জেনেছি, যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ব্র্যাকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. মুহাম্মাদ মুসা; প্রফেসর সালিমুল হক, যিনি প্রখ্যাত পরামর্শক ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। গত ২০ বছরে বিভিন্ন আলোচনায় বার বার ব্র্যাকের প্রসঙ্গ এসেছে।
দীর্ঘদিন ধরে আমি পরিবেশ, জলবায়ু এবং উন্নয়ন সেক্টরের কাজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছি। তবে পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়ে চরম দারিদ্র্যের অবসান ঘটাতে প্রয়াসী একটি সম্প্রদায় পরিচালিত সংস্থার সঙ্গে কাজ করা আমার জন্য সুযোগের মতো ছিল, যেটা আমি লুফে নিতে চেয়েছিলাম। ব্র্যাকের এই দায়িত্ব পেয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে, মানবিক ও উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে আমি আমার শিকড়ের কাছে ফিরতে পেরেছি।
দ্য গুড ফিড: ব্র্যাকে আপনার প্রথম ১০০ দিন কেমন হতে পারে?
ক্রিস্টিনা চ্যান: আমার অগ্রাধিকার থাকবে ব্র্যাকের মূল্যবোধ, কার্যক্রম, সংস্থার কর্মী এবং সংস্থাটি যাদের সঙ্গে কাজ করে তাদের বোঝা। আমি ব্র্যাকের কর্মসূচি নির্ধারণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে সার্বিক ধারণা অর্জন করতে চাই। এ ছাড়া ক্লাইমেট হাবের উদ্দেশ্য, রূপকল্প এবং পরিকল্পনা তৈরির জন্য আমার টিম ও লিডারশিপের সঙ্গে কাজ শুরুর অপেক্ষায় আছি। আমি ব্র্যাকের বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কর্মসূচি নির্ধারণ এবং নীতিগত প্রচেষ্টাগুলো স্পষ্টভাবে বুঝতে চাইছি এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাগুলোও চিহ্নিত করতে চাই। আশা করছি, প্রথম ১০০ দিন শেষে—যে সব বিষয়ে উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করতে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কৌশলগত লক্ষ্য ও অগ্রাধিকারগুলোর বিষয়ে সমন্বিত সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে পারব; যাতে মানুষের জীবনে আরও গভীর ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখতে পারি।
দ্য গুড ফিড: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্র্যাকের ভূমিকা কেমন হওয়া দরকার বলে মনে করেন?
ক্রিস্টিনা চ্যান: দুর্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশের এবং সার্বিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ব্র্যাকের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ব্র্যাকের মতো একটি সংস্থার পক্ষে বিশ্বের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক কর্মসূচি তৈরি, নীতি-নির্ধারণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ক্ষেত্রে মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠার যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ব্র্যাক তার দীর্ঘদিনের উন্নয়নমূলক কাজের দক্ষতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ক্ষমতায়নের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জলবায়ু অভিযোজনে উদ্ভাবনী কৌশলগুলোর বিষয়ে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দিতে পারে। আমাদের অর্জিত অভিজ্ঞতাগুলো আমি অন্যদের জানাতে চাই। আমরা জানি, নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনটা কাজের আর কোনটা কাজের নয়, কেনো সেটা কাজ করে না। আমি ব্র্যাকের জন্য সেই জায়গাটিতে কাজ করতে চাই, এখন পর্যন্ত জায়গাটি খালি পড়ে আছে।
দ্য গুড ফিড: আপনি আগেই বলেছেন, ‘অভিযোজন হলো জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে ভিন্নভাবে উন্নয়ন করা।’ আপনি এই ‘ভিন্ন’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
ক্রিস্টিনা চ্যান: জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে ভিন্নভাবে উন্নয়নের অর্থ হলো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে জলবায়ুকে প্রাধান্য দেওয়া।
উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে আমরা যেটাকে কার্যকর বলে মনে করি সেটাকে আরও সম্প্রসারণ করতে হবে। অনেকে যুক্তি দেন, আমরা দারিদ্র্য কমাতে পারলে ঝুঁকি কমবে। তবে, এটাই যথার্থ নয়। পরিবর্তিত জলবায়ুতে আমরা কীভাবে উন্নয়ন করব সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে ফিলিপাইন সরকারের সঙ্গে মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ করপোরেশনের একটি প্রকল্পের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। যেখানে রাস্তা ও সেতুর মতো অবকাঠামোগুলো জলবায়ুর প্রভাব (যেমন অতিরিক্ত বন্যা) প্রতিরোধী হিসেবে নকশা করা হয়েছিল। তাদের এই দূরদর্শী নকশার কারণে ওই সব অবকাঠামোগুলো টাইফুন হাইয়ানের মতো গুরুতর প্রাকৃতিক দুর্যাগ থেকে ওই অঞ্চলকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তার কারণ ওইসব অবকাঠামো ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো হয়। এটি এমন একটি উন্নয়ন প্রকল্প যা প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে জলবায়ু সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায়ও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

২০২৪ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশে আঘাত হানলে প্রায় ৩৫ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়। দক্ষিণ বিশ্বে দিন দিন এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা ও তীব্রতা বাড়ছে
দ্য গুড ফিড: দুঃখজনক হলেও সত্য জলবায়ু অভিযোজনের জন্য তহবিল বরাদ্দ এখনো খুবই অপর্যাপ্ত। কীভাবে আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারি?
ক্রিস্টিনা চ্যান: অভিযোজনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে আমাদের কার্যকরী উপায়ে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। অভিযোজন-বিষয়ক প্রকল্পগুলো কীভাবে বিভিন্ন সেক্টরে দীর্ঘমেয়াদি সুফল এবং সহনশীল পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তা তথ্য-প্রমাণের মাধ্যমে প্রচার অত্যন্ত জরুরি। নির্দিষ্টভাবে জলবায়ু তহবিলের পরিবর্তে আমাদের বিভিন্ন উৎস থেকে আরও বেশি তহবিল বরাদ্দ পাওয়া প্রয়োজন। তহবিল বরাদ্দ পেতে জলবায়ু অভিযোজনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জলবায়ু ফাউন্ডেশনগুলো তহবিল হ্রাসের দিকে ঝুঁকছে এবং অভিযোজনের বিষয়ে কম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে এই অবস্থার পরিবর্তনও হচ্ছে। আমরা এ ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনগুলোকে সাহায্য করতে পারি। তার কারণ এ বিষয়ে বিভিন্ন ফাঁক-ফোকর এবং অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো বুঝতে এবং একইসঙ্গে কার্যকরী সমাধানের লক্ষ্যে তারা নতুন অভিযোজন কৌশল এবং পোর্টফোলিও তৈরি করছে। প্রাইভেট সেক্টরগুলোও উভয় দিক দিয়ে—করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) দৃষ্টিকোণ থেকে এবং সেইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে তাদের সরবরাহ শৃঙ্খলে (সাপ্লাই চেইন) প্রভাব ফেলছে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ক্রমেই অভিযোজনের গুরুত্ব বুঝতে পারছে।
দ্য গুড ফিড: দক্ষিণ বিশ্বে অভিযোজনের জন্য অর্থায়নকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হয়। ঝুঁকি পুনর্মূল্যায়নের জন্য আমরা কীভাবে তহবিল বরাদ্দ পেতে পারি?
ক্রিস্টিনা চ্যান: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সহনশীলতা অর্জন ও দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষায় কৌশলগত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অভিযোজনকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন হলো মূল বিষয়। এতে অভিযোজন প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা এবং সুবিধাগুলো গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে উঠে আসতে পারে। সাফল্যের গল্প হিসেবে টাইফুন হাইয়ান প্রতিরোধে ফিলিপাইনের অবকাঠামোগত প্রকল্পের কথা আসতে পারে। এটা ঝুঁকিকে সাফল্যের গল্পে রূপান্তরে সহায়তা করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার সময় আমি ও আমার টিমে যে বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছিলাম তার মধ্যে একটি ছিল যোগাযোগ। অভিযোজন ও সহনশীলতা অর্জনের পক্ষে একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কার্যকর যোগাযোগ ও গল্পের মাধ্যমে ছাড়া সেটা গড়ে তোলা সম্ভব না।
দ্য গুড ফিড: জলবায়ু তহবিল প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত, সামান্য পরিমাণে যা আসে তাও প্রায়শই ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছায় না। এই অবস্থার পরিবর্তনে আমরা কী করতে পারি?
ক্রিস্টিনা চ্যান: মাঠ পর্যায়ে তহবিল বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ বরাাদ্দ পাওয়ার পর সেগুলো যথাযথভাবে ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্য অবশ্যই প্রক্রিয়াগুলোকে গতিশীল করতে হবে এবং আমলাতান্ত্রিক বাধাগুলো কমাতে হবে; যা প্রায়শই বরাদ্দ পাওয়া অর্থের নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছানোকে বিলম্বিত করে অথবা বাধার সৃষ্টি করে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া এবং সেটার ব্যবহারে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হলে দাতাদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়। এর ফলে তারা আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ দিতে উৎসাহিত হয়।
দ্য গুড ফিড: আপনার নতুন দায়িত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো গ্লোবাল সাউথে (দক্ষিণ বিশ্ব) নেতৃত্বের বিকাশ। এ বিষয়ে গ্লোবাল নর্থকে আপনি কী বার্তা দিতে চান?
ক্রিস্টিনা চ্যান: সমস্যাকেন্দ্রিক সমাধান এবং স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্বকে সেটার গুরুত্ব বোঝানো অপরিহার্য।
কার্যকরী অভিযোজনের জন্য দক্ষিণ বিশ্বের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর অনন্য অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ বিশ্বের নেতৃত্বকে সহায়তা করা বলতে বোঝায় তাদের অর্থায়ন করা এবং উদ্ভাবিত জ্ঞান ও সমাধানের মূল্যায়ন করা। স্থানীয় নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে এ ধরনের অংশিদারত্বকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে আরও বেশি টেকসই এবং কার্যকরি ফলাফল অর্জন করা সম্ভব।
জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনসহ বৈশ্বিক নীতি নির্ধারণী পর্যায়গুলোতে যারা কথা বলেন তাদের মধ্যেও বৈচিত্র্য থাকা দরকার।

তিন সন্তান কিরন (১২), জুনিপার (৭) ও ড্যাক্স (৩)-এর সঙ্গে ক্রিস্টিনা চ্যান।
দ্য গুড ফিড: এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে আসা যাক, অবসরে আপনি কোন কাজগুলো বেশি উপভোগ করেন?
ক্রিস্টিনা চ্যান: আগের চাকরিটি ছাড়ার পর এবং ব্র্যাকে জয়েন করার আগে চার সপ্তাহের ছুটি নিয়েছিলাম। তিন সন্তান কিরন (১২), জুনিপার (৭) ও ড্যাক্স (৩)-এর সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটিয়েছি। আবারও দিনের বেলা পড়া ও ঘুমানোটা বেশ উপভোগ করেছি! যেকোনো কর্মজীবী পিতা-মাতা বুঝতে পারবেন দিনের বেলা পড়া এবং ঘুমানো কতটা আনন্দদায়ক… আমি বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে হাইকিং এবং ক্যাম্পিং বেশ উপভোগ করি।
সাক্ষাৎকারটি ১৩ জুন ২০২৪ ব্র্যাকের ইংরেজি ব্লগ দ্য গুড ফিডে প্রকাশিত হয়।
অনুবাদ: মনিরুল ইসলাম



