Print this page
Last modified on Monday, 26 April 2021 19:53

এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের এমডিএম কোর্সের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্যার ফজলে হাসান আবেদের ভাষণ

Rate this item
(1 Vote)

৭ই জুলাই ১৯৯০ ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের এমডিএম কোর্সে অংশগ্রহণকারী সর্বপ্রথম দলের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে  ব্র্যাকের তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক স্যার ফজলে হাসান আবেদ ভাষণ দেন। এখানে সে ভাষণের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করা হলো।

উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা : ব্র্যাক দৃষ্টিকোণ থেকে
আপনাদের এখানে আসতে পেরে ও কথা বলার সুযোগ পেয়ে আজ আমি খুবই আনন্দিত। উন্নয়ন আমার বৃত্তি ও চর্চার ক্ষেত্র, আর তাই আমি যা বলব তার সঙ্গে ব্র্যাকের কাজ, অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দর্শনের একটি সম্পর্ক থেকেই যাবে।

বাংলাদেশ ও ব্র্যাকের ওপর ক্ষুদ্র ভূমিকা রেখে আমি আমার বক্তব্য শুরু করতে চাই। আপনারা জানেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর একটি, যার মাথাপিছু জাতীয় আয় হচ্ছে ১৬০ মার্কিন ডলার। শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে এবং একইসঙ্গে এরা অশিক্ষার অন্ধকারে নিমজ্জিত। শিশু ও মায়েদের মৃত্যুহার শোচনীয়ভাবে বেশি এবং শতকরা ৬০ ভাগ শিশু পুষ্টিহীনতায় ভোগে। এই নির্মম চিত্রকে সামনে রেখেই সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো গ্রামীণ দরিদ্রদের লক্ষ্য করে তাদের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করে। ব্র্যাকের নিজস্ব প্রয়াসও এমনিতর চিন্তা থেকে উৎসারিত। ব্র্যাক ইতিমধ্যে জাতীয় পর্যায়ের একটি বৃহত্তম বেসরকারি সংস্থা হিসেবে গড়ে উঠেছে। এর সূচনা ১৯৭২ সালের গোড়ার দিকে। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে ভারত থেকে ফিরে আসা হাজার হাজার শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন কাজ দিয়েই ব্র্যাকের যাত্রা শুরু। তারপর থেকে আমরা বহু কর্মসূচি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছি। যেমন : সংগঠন ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি তৈরি, ব্যবহারিক ও প্রাথমিক শিক্ষা, আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সঞ্চয় ও ঋণ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা, দক্ষতা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ইত্যাদি। দারিদ্র্যবিমোচন এবং দরিদ্র জনগণ, বিশেষ করে সহায়হীন দুঃস্থ জনগোষ্ঠী যেমন মহিলাদের ক্ষমতার অধিকারী করে তোলা আমাদের কাজের মধ্যে এ দুটি উদ্দেশ্যই মুখ্য।

উন্নয়নে ব্যবস্থাপনার ভূমিকা যথোপযুক্ত প্রতিবেশ তৈরি
আমি এখন আমার বক্তব্যের মূল প্রসঙ্গ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার প্রতি আলোকপাত করতে চাই। আমার কাছে উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা বিষয়টিকে অন্য যে কোনো ধরনের ব্যবস্থাপনা থেকে আলাদা বলে মনে হয়। এমনি ব্যবস্থাপনার যেরকম চাহিদা, উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার চাহিদা যেন তার চাইতে আরেকটু বেশি। আমরা যদি বুঝতে পারি উন্নয়ন কীভাবে সংঘটিত হয় এবং একজন ব্যবস্থাপকের উন্নয়ন বিকাশে ভূমিকাই বা কি তাহলে গোটা ব্যাপারটি আরও স্পষ্ট হবে।

উন্নয়ন অবশ্যই মানুষের উদ্যম ও কর্মশীলতার যোগফল। এটি এমন এক বিষয় যা মানুষ নিজেদের সক্রিয়তার মাধ্যমে সম্পাদন করে, অন্যথায় উন্নয়ন নামক কিছুই ঘটে না।

পুঁজি, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বা সম্পদ ইত্যাদি উন্নয়নের জন্য নিশ্চয়ই প্রয়োজন। কিন্তু এগুলোই প্রধান উপাদান নয়। প্রধান উপাদান হলো মানুষ। এটি গ্রামীণ উন্নয়ন সংঘটনের ক্ষেত্রে আরও বেশি করে সত্যি। গ্রামীণ উন্নয়ন হলো আসলে ব্যক্তিক ও সামাজিক পরিবর্তন—দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ, দক্ষতা, ধ্যানধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা ও সামগ্রিকভাবে জীবনযাপন রীতিতে যে পরিবর্তন আনা যায় তা–ই। পরিবর্তনগুলো যে খুব সহজে ঘটবে তা কিন্তু নয় এবং সময়সাপেক্ষও বটে। এগুলো যাতে মানুষের ফলপ্রসূ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে আরও দ্রুত ঘটে সেজন্যে চাই একটি যথোপযুক্ত পরিবেশ। এ ধরনের পরিবেশ তাদের নিজেদের কাজের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করতে সহায়তা করে। উন্নয়ন ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব হচ্ছে এই বিশেষ পরিবেশ তৈরি করা। তার প্রধান কর্তব্যই হচ্ছে কি করে মানুষের অংশগ্রহণে প্রাণিত ও নিশ্চিত করা যায়।

বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনার ভূমিকা কিছুটা অন্যরকম। এর মূল লক্ষ্য হলো লাভ। একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কথাই ধরুন। সর্বসাধারণের সঞ্চিত অর্থ থেকে তহবিল গঠন করে লাভজনক ঋণদান ও আদায় একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রাথমিক উদ্দেশ্য। পক্ষান্তরে ব্র্যাক ব্যাংক, যার মাধ্যমে আমরা আমাদের অভীষ্ট জনগোষ্ঠীর কাছে ঋণ পৌঁছে দিই, তার দায়িত্ব ঋণদানের বাইরেও প্রসারিত। উদাহরণস্বরূপ একটি হাঁসমুরগি পালন প্রকল্পের জন্যে ঋণ দিতে গিয়ে একজন ব্র্যাক ব্যবস্থাপককে নিশ্চিত হতে হয় যে, ঋণগ্রহীতা ঋণের যথাযোগ্য ব্যবহারের সামর্থ্য অর্জন করেছেন। ব্যবস্থাপককে এও লক্ষ্য রাখতে হয় যে, আবেদনের যোগ্যতার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসঞ্চয় খাত দলটির রয়েছে, যা কিনা সাধারণত ঋণের জন্যে আবেদনকৃত অর্থের ১০ শতাংশ। তা ছাড়া হাঁসমুরগির মৃত্যুহার রোধ করার জন্য টিকাদান সেবার ব্যবস্থা করা চাই। এ দিকগুলো সম্পর্কে যত্নবান হলে তবেই দলটি লাভজনকভাবে ঋণ ব্যবহার করতে পারে এবং হাঁসমুরগি পালন প্রকল্পও একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প হিসেবে দাঁড়াতে পারে। এসব কিছু নিশ্চিত করা হলো একজন উন্নয়ন ব্যবস্থাপকের কাজ।

অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থাপনা
আমরা যারা ব্র্যাকে আছি তারা বিশ্বাস করি অংশগ্রহণমূলক ও বিকেন্দ্রীকৃত ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রক্রিয়া সাফল্যের জন্যে জরুরি। আমাদের মতো একটি দ্রুত সম্প্রসারণশীল প্রতিষ্ঠান, গ্রামীণ পরিস্থিতিতে জঙ্গমতা সৃষ্টি ও সামাজিক পরিবর্তনই যার ঈপ্সিত লক্ষ্য, তার জন্যে এ ধরনের ব্যবস্থাপনা আরও বেশি উপযোগী। আমরা মনে করি, ব্র্যাকের যেকোনো কর্মী বা সদস্য, সে যে পদেই অধিষ্ঠিত থাক না কেন, ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় তার শরিক হওয়া প্রয়োজন। সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় শেকড় পর্যায়ের কর্মীদের একটি সুনির্দিষ্ট ভূমিকা, নিয়মিত ভাবনার আদানপ্রদান ও সভার মাধ্যমে আমরা রক্ষা করি। ব্র্যাকের ব্যবস্থাপনা তাই সবসময়ই অংশগ্রহণমূলক। এতে করে কর্মীদের লব্ধ শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা যেকোনো কর্মসূচি, পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে রসদ হিসেবে কাজ করে। ব্র্যাকে এ ধরনের ব্যবস্থাপনার প্রসার কীভাবে হয়, তা বোঝানোর জন্যে দৃষ্টান্তসহ আমি আরও কিছু কথা যোগ করতে চাই।

সারাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে চার হাজার কর্মীর পরিচালনায় আমাদের অনেকগুলো কর্মসূচি রয়েছে। যদিও আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামো উল্লম্ব বা অনুভূমিকভাবে দেখানো যায়, তবু ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় কর্মীদের অংশগ্রহণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। ইচ্ছে করেই সেজন্য আমরা আমাদের কার্যক্ষেত্রের ইউনিট ছোট রেখেছি। ব্র্যাক কর্মসূচির কার্যক্ষেত্রের ইউনিট হলো এলাকা অফিস যেখানে ৬ থেকে ৮ জন কাজ করেন। একটি নির্দিষ্ট পরিসীমার মধ্যে, যা আবার তারা নিজেরাই নির্ধারণ করে নেন, কার্যক্ষেত্রসংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা তাদের রয়েছে। একথা সত্যি যে, ব্র্যাক একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, কিন্তু এই ছোট ইউনিটগুলোর ব্যবস্থাপনাই তার একান্ত ভিত্তি।

সর্বত্রচারী মূল্যবোধ সৃষ্টি
একটি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধগুলোকে যদি সকলের মধ্যে চারিত করা যায়, তবে ব্যবস্থাপনায় সেগুলো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। ব্র্যাক আদ্যোপান্ত সুনিশ্চিত কিছু বিশ্বাসের সৃষ্টি ও লালন করে এসেছে। মানুষের সৃজনক্ষমতার যে অযুত সম্ভাবনা রয়েছে এ বিশ্বাসকে আমরা সব ব্র্যাককর্মী ও অভীষ্ট জনগোষ্ঠীর ভেতর ছড়িয়ে দিয়েছি। আমরা মনে করি প্রতিটি ব্যক্তি, সমাজে তার অবস্থান যাই হোক না কেন, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে পারেন। শিশুর ডায়রিয়া হলে জলশূন্যতা রোধে আমাদের মায়েরা নিজ হাতে স্যালাইন চিকিৎসা করতে সক্ষম, এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আরও অনেকে সত্তরের শেষভাগেও যখন দ্বিধান্বিত, তখন আমরা বাড়িতেই পাওয়া যায় এমন কয়েকটি উপাদান দিয়ে মায়েদের স্যালাইন তৈরি শেখানোর সিদ্ধান্ত নিই। আমরা যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ইতিহাস সে কথা প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশে এখন সব মায়েরাই জানেন কি করে ঘরে বসে খাওয়ার স্যালাইন তৈরি করা যায়।
কাজের নৈতিক পরিমণ্ডলকে ব্র্যাক সবসময়ই গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। কাজের সময় আমরা এমন একটি অকৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করতে চেষ্টা করি, যাতে সকল কর্মীই তাদের একান্ত পরিশ্রম যে মানুষের কল্যাণের জন্যে তা অনুভব করতে পারেন। এ জাতীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্বাস আমাদের ব্যবস্থাপনার প্রকৃতিকে কিছুটা স্বতন্ত্র করে তোলে।

নিয়ত শিক্ষা গ্রহণ : গবেষণার ভূমিকা
একজন উন্নয়ন ব্যবস্থাপককে প্রতিনিয়তই তার কার্যক্ষেত্র থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে হয়। কাজের প্রগতি কিংবা অনগ্রসরতা, শক্তি অথবা দুর্বলতা, তার অধীনস্তদের কর্মকুশলতা, গোটা কর্মসূচির বিস্তৃতি ও প্রভাব ইত্যাদি অনেক বিষয়েই প্রতিদিন তাকে নতুন করে শিখতে হয়। এ শেখার সবচাইতে নির্ভরযোগ্য সূত্র হলো পক্ষপাতশূন্য গবেষণা ও মূল্যায়ন। আমরা তাই আমাদের নিজেদের একটি গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগ স্থাপন করেছি। আমাদের গবেষণা একবারই সম্পাদ্য কোনো ব্যাপার নয়। বরঞ্চ এটি এক নিরন্তর প্রক্রিয়া। গবেষণাকর্মের গুণেই আমরা সবসময় আমাদের লক্ষ্যকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত এবং সঙ্গেসঙ্গে কাজের পরিধি বৃদ্ধি ও প্রকল্পগুলোর দীর্ঘমেয়াদি রূপ দিতে পেরেছি।

আমাদের অভিজ্ঞতা বলে একজন সফল উন্নয়ন ব্যবস্থাপক সে-ই যিনি তার নিজের ব্যর্থতা থেকে শেখেন। আর তার সিদ্ধান্তগুলোর পেছনে কাজ করে গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য।

কর্মকুশলতা
শেষ করার আগে আমি আরেকবার জোর দিয়ে বলব যে, উন্নয়ন হলো একটি সত্যিকারের জটিল কাজ এবং এর ব্যবস্থাপনা যা সচরাচর মনে করা হয়ে থাকে তার চেয়েও বেশি দুরূহ। গ্রামীণ উন্নয়ন এখন আর কোনো শখের কাজ নয়। এটি একটি পেশাদার কাজ এবং এ কাজে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন বিশেষ নৈপুণ্য ও যোগ্যতা। উন্নয়ন ব্যবস্থাপকদের উন্নয়নের অন্তর্নিহিত অর্থ এবং এর রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ে বোঝার আগ্রহ ও ক্ষমতা থাকতে হবে। সেজন্য তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কাজের মধ্য দিয়ে সার্বক্ষণিক শিক্ষা গ্রহণের প্রয়োজন। আমরা সেভাবেই আমাদের ভবিষ্যৎ ব্যবস্থাপকদের গড়ে তুলছি, যাতে করে তারা তাদের সামনের দায়িত্ব যথাযোগ্য নিষ্ঠা ও দক্ষতা সহযোগে নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। উন্নয়নে কর্মকুশলতার কোনো বিকল্প নেই।

ভদ্রমহিলা ও মহোদয়,
আপনাদের এই এমডিএম কোর্স নিশ্চয়ই সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। আমি আশা করি, এই কোর্স আপনাদের সার্বিক দক্ষতা ও মানবিক উদ্দীপনা নিয়ে আসন্ন দায়িত্ব পালনে সাহায্য করবে। আজকের বিদায় বেলায় আপনাদের সবার শুভ কামনা করছি। আজ সন্ধ্যায় এই সম্ভাষণ জানানোর জন্যে আমন্ত্রিত হওয়ায় আমি আরেকবার এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার মতো সহজে অধিগম্য নয় এমন এক বিষয়ে আরো অনেককে প্রশিক্ষিত করার কাজ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অব্যাহত রাখবেন এই আমাদের প্রত্যাশা। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

Read 3650 times Last modified on Monday, 26 April 2021 19:53

Latest from