Remembering Sir Fazle Hasan Abed KCMG

People from all over the world have shared their memories and feelings about Sir Fazle. You can view some of the messages below.

যে স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে গেল।

ছোট থেকে স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলেই আমার মা আমাকে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী কিনে দিতেন।কোন ক্লাস এটা মনে নেই তবে খুব ছোট কোন ক্লাসে স্যারকে নিয়ে আমার প্রথম জানা।উনাকে নিয়ে পড়ার পর থেকে ওই ছোটবেলা থেকে এতটা মুগ্ধ আমি হয়েছিলাম তা কোনদিন কোন ভাবেই লিখে বা বলে বোঝানো যাবেনা। যত বড় হয়েছি যত উনাকে নিয়ে জেনেছি আমার মুগ্ধতা ততই বেড়েই চলেছিলো দিনের পর দিন।একসময় মনে হলো ব্র্যাকে চাকুরী করলে উনার দেখা পাবো,আর এই আশায় ব্র্যাকের চাকুরী করতে হবে এটা হয়ে গেল আমার স্বপ্ন।অপেক্ষায় থাকলাম কবে পড়াশোনা শেষ করবো আর ব্র্যাক চাকুরী করতে পারলে উনাকে দেখতে পাবো। সময় চলে গেল পড়াশোনা শেষ হলো কিন্তু বিভিন্ন কারনে আর চাকুরীর স্বপ্ন সত্যি হলোনা,আমার স্যারের সাথে দেখাও হলোনা।এর মাঝে স্যার চলে গেলেন। ওই দিনটাই যে আমি কত কেঁদেছিলাম,এখনও চোখ ভিজে যাচ্ছে আমার,লেখাগুলো অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক ভালোবাসি স্যার আপনাকে,যেখানে থাকবেন ভালো থাকবেন। অন্য কোন ভূবনে নিশ্চয়ই আমি আপনাকে খুঁজে নিয়ে দেখা করবো একদিন।সেদিনের অপেক্ষায় থাকলাম।

সেলিমা সুলতানা তমা

অনুপ্রারণা

সাল টা তখন ২০১৬ ,আমি ঈদ স্টাফ হিসাবে ধানমন্ডি আউটলেটে জয়েন করছি,,তারিখ টা সঠিক মনে নাই,রমজানের কোনো একটা দিন আবেদ স্যার আমাদের আউটলেটে আসেন ,,আবেদ ভাইকে তখনো আমি ভালোভাবে চিনতাম না,আবেদ ভাই আসার সাথে সাথে সবাই কেমন যেনো পরীপাটি হয়ে গেলো,আমি তখন একটা সিনিয়র আপুকে বললাম কি হইছে আপু,সবাই এত তারাহুরো করতেছে কেনো,,? এই মানুষটা কি আড়েংর খুব বড় কাষ্টমার,,? তখন আপু হাসি দিয়ে বললো আরে বোকা উনিই আড়ং এর মালিক স্যার ফজলে হাসান আবেদ,,,তখন আমিও একটু নরেচরে বসলাম,,তখন আবেদ স্যার বললো আপনারা তারাহুরো করবেন না, স্বাভাবিক ভাবে যে যার কাজ করেন,,তারপর আর কি আমি আবদার করে বসলাম ছবি তুলবো,যেই কথা সেই কাজ .আবেদ ভাই তখন সবাইকে নিয়ে ছবি তুললো,আমি একেবারে আবেদ ভাইয়ের পাশ ঘেসে ছবিটা তুললাম,,,ছবির সব মানুষগুলো ই এখনো আছে,,শুধু আমাদের প্রিয় আবেদ ভাই ই নাই,,,তিনি আছেন আমাদের হৃদয়ে,,,

কিরীটি কাঞ্চন

আমার স্মৃতিতে আবেদ ভাই

আমি মরিয়ম খাতুন আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা তুলে ধরব আমার জন্ম ৪ঠা মে ১৯৯২ইং আমরা দুই ভাই এক বোন।বাবা দিন মুজুর ছিলেন যখন একটু বুঝতে শিখেছি তখন দেখেছি আমাদের গ্রামে মেয়েদের বাড়ির বাইরে বেরোতে দেওয়া হতো না। আর আমাদের গ্রামে কোন প্রাইমারি স্কুল ছিল না। বড় ভাই অনেকদূর হেটে স্কুলে যেতেন। কিন্তু গ্রামের কোন মেয়ে স্কুলে যায়না বলে আমাকে আমার পরিবার স্কুলে পড়াবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়। বাবার ইচ্ছা থাকলেও দারিদ্রতা আর সামাজিকতার কথা ভেবে বাবা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে আমাদের গ্রামে ব্র্যাক স্কুল চালু হয় এবং সৌভাগ্যক্রমে আমার সেখানে পড়ার সুযোগ হয়। তখন নিজে মনে মনে ভেবেছিলাম যে হয়তো আমাকে নিরক্ষর অন্তত থাকতে হবে না।ব্র্যাক প্রাইমারী স্কুলে পড়ার সময় আমি এটা শিখেছিলাম যে আমরা নারী আমরা ইচ্ছে করলে অনেক কিছুই করতে পারি সমাজটাকে বদলেও দিতে পারি।একজন নারী হয়ে লেখাপড়া শিখে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সাহসটা আমি সেখান থেকেই পেয়েছিলাম।তারপর ধাপে ধাপে এগিয়ে গিয়েছি আমাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আবার পড়াশুনার পাশাপাশি ব্র্যাক স্কুলে শিক্ষকতা করার সুযোগটা আমার হয়েছিল। আমিও চেয়েছি আমার সবটুকু চেষ্টা দিয়ে সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের ও শিশুদের সহযোগিতা করতে। এভাবে আমি মাস্টার্স পাশ করি। তখন স্কুলের প্রজেক্ট শেষ হয়ে যায়। তখন আমার শক্তি ফাউন্ডেশন নামে একটা এনজিওর চাকরি হয় সেখানে আমি ছয় মাস চাকরি করি কিন্তু ওখানের চাকরিটা আমি মন থেকে মেনে নিতে পারিনা। মনের মধ্যে শুধু ব্র্যাক নামটাই ছিল। ভাগ্যক্রমে তখন ব্র্যাকের দাবি প্রোগ্রাম থেকে আমাকে পরীক্ষার জন্য ডাকে পরীক্ষা দিলে চাকরিটাও হয়ে যায়। তিন বছর আগে ডিসেম্বর ২০১৭তে ব্রাকের দাবি প্রোগ্রামে জোগদান করি। তখন যদি এই শিক্ষা প্রোগ্রামটা না থাকত তাহলে হয়তোবা আমাকে নিরক্ষর থাকতে হতো শুধু আমি কেন আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মেয়েই হয়তো নিরক্ষর থাকত।জীবনে খুব ইচ্ছে ছিল সেই মহামানব টাকে সামনে থেকে দেখার যার কারনে আমি একজন নারী হয়েও স্বনির্ভর হতে পেরেছি আত্মনির্ভরশীল হতে পেরেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার আগেই তিনি চলে গেলেন। তিনি শুধু আমি মরিয়মের হৃদয়েই নয়, হাজার হাজার মরিয়মের হৃদয়ে থাকবেন অনন্তকালাবোধী।

মরিয়ম খাতুন

ব্র‍্যাক ইস্কুল

আমি এখন থেকে ভবিষ্যতে যা কিছু করবো, তার সবটুকু ক্যারিয়ার আমি আমার ছোট্ট বেলায় পড়া ৩টা ক্লাস ব্র‍্যাক ইস্কুল কে দিতে চাই। কারণ আমি এমন একটি পরিস্থিতিতে বড় হয়েছি যেখানে আমাদের চার ভাইয়ের খাওয়া পড়ার কোনো রকম ব্যাবস্থাই ছিল না, এতোটা অভাবে ছিলাম যে, ইস্কুলে যেতে পারবো সেটা কখনো ভাবি নাই। তবে ব্র‍্যাক ইস্কুলের ফ্রীতে পাওয়া বই আর সামান্য ১০ টাকা বেতন দিয়ে আমি যে অ আ ক খ শিখেছি সেটা আর জীবনে ভুলবো না। ব্র‍্যাক ইস্কুল এতোটা ভালো ছিলো যে, এতো সহজে আমি লেখাপড়া শিখেছি। আমি আশাকরি ব্র‍্যাক ইস্কুলের তিনটা ক্লাস আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমি আর কোনো ইস্কুলে বা কলেজ পড়েনি। ছোট বেলা কখনো ব্র‍্যাকের প্রতিষ্ঠাতা কে চিনেনি, এখন বড় হয়ে জানতে পারলাম। আমি একদিন অনেক বড় হব। আর সেই বড় হওয়ার সম্ভাবনা আমার যোগ্যতা সেই ব্র‍্যাকের ৩ টা ক্লাস। যদি কোনো দিন পারি আমি আবেদ স্যারের মতো কিছু করতে চাই। নমস্কার শ্রীকান্ত বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা 🙏

Sreekanta Baishnab

ফজলে আবেদ ভাই

একজন আবেদ ভাই মানে কতগুলো সত, নিষ্ঠাবান ও স্বপ্নবাজ তরুণদের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন সমাজ দেশ তথা জাতি গঠনের নাম। আবেদ ভাই সম্পর্কে জানাতে গিয়ে পেলাম কোন এক সময় বিএলসিতে আবেদ ভাইকে এককাপ কফি খেতে দেওয়া হয় আরও পাসের টেবিলে একজন ব্র্যাক কর্মীকে চা খেতে দেওয়া হলে আবেদ ভাইয়ের চোখে বৈষম্য ধরা পরে সাথে সাথে ভাই কফির পেয়ালা ফিরিয়ে দিয়ে চা আনিয়ে নেন। এবং প্রমান করে দেন `ব্র্যাক` কোন ব্যাক্তির নয়, `ব্র্যাক` আমার, আপনার ও সবার। ২০১১ সালে যখন আমি ব্র্যাকের কেউ ছিলাম না তখন একটি অনুষ্ঠানে আবেদ ভাইয়ের সাথে দেখা হলে আমি আমার একজন কলিগকে বল্লাম দেখ উনি আবেদ স্যার না!! আমার কথাটি আবেদ ভাইয়ের কানে গেলে সাথে সাথে আবেদ অতি সাধারণ মানুষের মতো আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বল্লেন আমি আবেদ স্যার নই আমি আবেদ ভাই, আসলেই আবেদ ভাই স্যার নয়, একজন অভিভাবক রুপি ভাই যিনি কাঁধে অদৃশ্য হাত রেখে সকল সহকর্মীদের কাজ শিক্ষা দিয়ে গেছেন যা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনে চলার পথের পাতেয় হয়ে থাকবে। আবেদ ভাই ওপারে ভালো থাকবেন। আমরা আপনার কাজের মধ্যদিয়ে আপনাকে বাঁচিয়ে রাখবো আপামর জনতার মাঝে। আবেদ ভাইয়ের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানায় এবং জান্নাতের উঁচু মকাম কামনা করি। আমিন।

Syed Muhibul Bashar Latify

মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দেশ গঠন।

স্যার ফজলে হাসান আবেদ মুক্তিযুদ্ধকালে দেশের জন্য যে অবদান রেখেছিলেন তা আমরা অনেকেই জানিনা। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং দরিদ্র দূরীকরণে যেসকল পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন তার বিকল্প বা নতুন কোন ধারণা আজ পর্যন্ত কেউ তৈরী করতে পারছে বলে মনে হয়না।

হাফিজুর রহমান

মানুষের জন্য ভালোবাসা আশেপাশের মানুষ, দেশ, পৃথিবী সব পাল্টে দিতে পারে

খাদ্য ও কৃষি খাতে নোবেল সমতুল্য ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ পেয়েছেন তিনি তখন। ২০১৫ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি সেই অনুষ্ঠান কাভার করতে প্রথম আলো থেকে আমি গিয়েছিলাম আইওয়ার দে ময়েন শহরে। বিশাল জাকজমকপূর্ণ সেই অনুষ্ঠান চললো চার পাঁচ দিন। অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ দিন ডিনার শেষে হলরুম প্রায় খালি। বললাম, আবেদ ভাই একজন বাংলাদেশী যখন পুরস্কৃত হন তখন সে পুরস্কারে তো প্রতিটা বাংলাদেশীরই ভাগ থাকে। আমাকে আমার ভাগ বুঝিয়ে দিন। উনি হাসতে হাসতে আমার হাতে ফ্রেম করা সনদপত্রটা তুলে দিয়ে বললেন, এই যে তোমার ভাগ। আমি হতাশার সুরে বললাম, এটার বদলে প্রাইজমানির (আড়াই লক্ষ ডলার) চেকটা পেলে বেশি ভালো হতো না। উনি এবার আরও জোরে হেসে উঠলেন। সেদিন বিকেলেই হোটেল লবিতে উনার একটা লম্বা সাক্ষাৎকার নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার। সেই সাক্ষাৎকারের বাইরেও সেদিন উনি আমাকে একটা উপলব্ধি দিয়েছিলেন, মানুষের জন্য ভালোবাসা থাকাটা খুব জরুরি; এটা আশেপাশের মানুষ, দেশ, পৃথিবী সব পাল্টে দিতে পারে।

সিমু নাসের

দুপুরের খাবার

সালটা সম্ভবত ১৯৯৭ বা ১৯৯৮ সাল হবে। রোজার ঈদে বাড়ীতে যাব এই প্রস্তুতি নিয়ে কুলাউড়া থেকে শ্রীমঙ্গল এসে দেখি আমার রংপুরের বাসটা চলে গেছে। ভীষন মন খারাপ। কোন উপায় না পেয়ে আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জাহিদ ভাইয়ের সাথে দেখা করে বললাম রংপুরে যাত্তয়ার কোন ব্যবস্থা করতে পারবেন কিনা? উনি বললেন ঈদের বাকী আছে মাত্র একদিন এই অবস্থায় আপনি ঢাকা হয়ে ভেঙ্গে গেলেও ঈদের পরদিন বাড়ীতে পৌছানোর সম্ভাবনা আছে। আপনার ঝুকি নেয়াটা ঠিক হবে না আপনি আমাদের সাথে থেকে ঈদ করেন আর ঈদের পরে ছুটি নিয়ে বাড়ীতে যাবেন। বাড়ীতে ফোন করে জানিয়ে দেন কি কারনে আপনি আসতে পারলেন না।অফিসের ফোন থেকে টিএন্ডটি অফিসে ফোন করে সংবাদটা পাঠালাম। ঈদের পরের দিন খুব সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আমার কর্মস্থল কুলাউড়া যাত্তয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন জাহিদ ভাই বললেন অফিসে একা একা ভাল লাগবে না আপনি আজকে থেকে আগামীকাল যাবেন। আমি বাহিরে যাত্তয়ার প্রস্ততি নিচ্ছি এমন সময় দেখি একটা গাড়ী ভিতরে ঢুকছে। দারোয়ানকে বললাম কে আসলেন ভাই উনি বললেন আবেদ ভাই ও তার পরিবার এসেছেন। আবেদ ভাইয়ের কথা শুনে উৎসাহটা আরো অনেক বেড়ে গেলো উনাকে দেখার জন্য। কিন্ত দারোয়ান নিষেধ করেছেন উনারা ট্রেনিং সেন্টারে আছেন সেখানে যাতে আমি না যাই।মনে মনে দারোয়ানের উপর ভীষন ক্ষেপে গেলাম! দারোয়ানের রুমে বসে তার সাথে গল্প করছি এমন সময় আবেদ ভাই হাটতে হাটতে সামনে চলে আসাতে আমার সাথে দেখা হয়ে গেল। জাহিদ ভাই আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন। উনি আমাকে ডাকলেন জাহিদ ভাইয়ের অফিস রুমে প্রায় ১৫/ ২০ মিনিট আবেদ ভাইয়ের আলোচনা করলাম। এরই মধ্যে আবেদ ভাইয়ের মিসেস এসে হাজির উনিও আমাদের সাথে গল্প করলেন। একসাথে লাঞ্চ করলাম। এভাবে দেখা হবে তা কোনদিন কল্পনাও করিনি। বাড়ী না যাত্তয়ার দুঃখ নিমিষেই ভুলে গেলাম।

মোঃ সফিকুল ইসলাম

বড় মনের মানুষ

সম্ভবত এটি ছিল 2015 সাল। আমি আড়ং উত্তরাতে আউটলেট সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। ম‍্যানেজার ভাই অন‍্য একটি কাজে আড়ং সেন্টারে গিয়েছিলেন(হেড অফিস) ওই দিন। হঠাৎ এক জন এসে বলে আবেদ ভাই ভিজিট এ আসছে, র্ফাস্ট ফ্লোরে আছেন। আন‍্যদিকে আফিসে সিনিয়র আমি হওয়ায় ওনাকে ডিল করার ভার আমার উপর বর্তালো। আমি কখনো ওনাকে সরাসরি দেখিনি, ভিতরে ভিতরে ভাবছিলাম আনেক বকা খাব আজকে,ব‍্র‍্যাক এর প্রধান বলে কথা। যাইহোক, খুব তারাতারি করে ওনার কাছাকাছি গিয়ে সালাম দিলাম। পুরো 40 মিনিট এর মত আমার সাথে কথা বলতে বলতে ভিজিট করল। সেকেন্ড ফ্লোর থেকে লিফ্ট এ ওঠার জন‍্য দাড়ালাম দুজনই। লিপ্টের স্টার্ট বাটনের পাশে কয়েকটি টাইল্স ওঠে গিয়েছিল আগে কোন এক সময়। আমিতো ভয়ে অস্থিরতায় দিশেহারা একরকম। ভাবছিলাম আনেক গুলো প্রশ্ন করবে এখন যা আমার হয়তো জানাও নাই। আবেদ ভাই হঠাৎ দেখল আর বলে ওঠল " তোমরা এখানে টাইল্সটা রিপেয়ার করলে আরো ভাল লাগবে দেখতে" আর হাটা শুরু করল আমার সাথে। আমি অবাক হলাম, এতটা সুন্দর ব‍্যবহার কোন বস বা মানুষ করতে হলে তার কতটা বড় হৃদয় দরকার। উনি আমাকে শক্ত ভাষা বা আদেশ করতে পারতেন। কিন্তুু তিনি আমাদের আবেদ ভাই যিনি প্রতিটা কথায় আমাদের শিহ্মা দিয়ে গেছেন, তিনি আমাদের পথ নির্দেশক হয়ে থাকবেন আজীবন। ওই দিনটি আমাকে এখনো ভাবায় তিনি কতটা বড় মনের মানষ।

Omar Faruk

I love Fazle Hassan Abed sir.

আমার জানা মতে তিনি একজন মহান ব্যক্তিত্ব পূর্ণ মানুষ।তিনি সর্বদা অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। তাদের অধিকার সম্পর্কে কথা বলেছে।

Md.Anisur rahman.

স্মৃতিচারণ

স‍্যার ফজলে হাসান আবেদ বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে এক আলোকবর্তিকা।তাকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল।আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

সঞ্জয় সেন

আমার কাছে আবেদ ভাই

আবেদ ভাই আমার পরিবারের কাছে একজন মহান মানুষ ছিলেন, আমি যেদিন প্রথম ব্র্যাকে যোগদান করি প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধ, সাম্য সকলের আন্তরিকতা দেখে ভালো লাগে ,তারা ধারাবাহিকতায় ব্র্যাকে ১৫ বছর , আবেদ ভাইকে আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন আমিন।

মোঃ মাসুদ রানা

শ্রদ্ধাঞ্জলী

স্যার ফজলে হাসান আবেদ স্যারকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।তিনির ব্র‍্যাকের মাধ্যমে আমি উপকৃত

মোঃ জাকির হোসেন বাহার

আমার স্মৃতিতে আবেদ ভাই

ব্র্যাকের সাথে আমার পথচলার শুরু ২০০১ সালের ১ ডিসেম্বর। এই সুদীর্ঘ পথের গল্পটা অনেক বড়। এই গল্প সময়ের খেলায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে। হয়ত এই পালাবদলের সময়ের জন্যেই আমার জীবন গল্পের এই অংশটা মনের দেরাজে সাজানো থাকবে চিরকাল। সেই সাজানো গল্পেরই কিছু বিশেষ পাতাকে উল্টেপাল্টে দেখার পালা। \ \ ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে নোয়াখালি অঞ্চলের বেগমগঞ্জ এলাকায় এলাকা ব্যবস্থাপক (দাবি) এর দ্বায়িত্বে ছিলাম। ঐ সময় আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ভাইয়ের থেকে “ডেভেলাপমেন্ট প্রফেশনাল কোর্স” এর জন্য লিখিত পরিক্ষায় অংগ্রহণ করার ব্যপারে জানতে পারি। মে মাসে লিখিত ও জুন মাসে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৫ জুলাই থেকে কোর্সের আওতাভুক্ত হই। নয় মাসে ঐ কোর্সে আমরা সৈয়দা সারওয়াত আবেদ ভাবির ৭-৮ টি ক্লাস করা সৌভাগ্য অর্জন করি। সেখানে ভাবি আমাদেরকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেন, আবেদ ভাই অনেক রাত অব্দি জেগে বই পড়তেন। তিনি দেশ ও বিশ্বের পত্রিকা , ম্যাগাজিন পড়তেন। ভাবি আমাদেরকে আবেদ ভাইয়ের পড়ার গুণটি নিজেদের জ্ঞানের পরিসীমা বাড়াতে আত্মস্থ করতে বলেন। আবেদ ভাইয়ের মতো জ্ঞান পিপাসু হওয়ার চেষ্টা আমি বরাবরই করে এসেছি। ভাবির থেকে আমরা আরও জানতে পারি, আবেদ ভাই রাতের খাবার পরিবারের সদস্যদের সাথে একসাথে খেতেন। এখানে, তার মধ্যকার পারিবারিক সৌহার্দ্যতার পরিচয় পাই। পরিবারকে সময় দেয়ার গুরুত্ব বুঝে আমিও আমার পরিবারকে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় দেয়ার চেষ্টা করি। আবেদ ভাইয়ের মন যতটাই কালিমুক্ত, ততটাই সাদামাটা তার ব্যক্তি জীবন। \ \ ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তানজানিয়ার দারুসসালাম এলাকায় এলাকা ব্যবস্থাপক (দাবি) হিসেবে যোগদান করি। সেখানে কাজ করার সুবাদে আমার প্রথমবারের মতো আবেদ ভাইয়ের সাক্ষাত পাওয়ার সৌভাগ্য হয়। ২০১৩ সালের ১২ এপ্রিল তারিখে কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ গুণেন্দুকুমার রায় জানান, ঐ মাসে ২০ তারিখে স্যার ফজলে হাসান আবেদ ভাই গ্রাম সংগঠন পরিদর্শনে আসবেন। নির্ধারিত দিনে স্যার ফজলে হাসান আবেদ, তামেরা হাসান আবেদ আপা, ভাইস চেয়ারম্যান আহম্মেদ মোস্তাক রেজা চৌধুরী ভাই ও নির্বাহী পরিচালক ফারুক চৌধুরী ভাই আমার কর্ম এলাকার বাগালা শাখা পরিদর্শনে আসেন। ৪০ সদস্যের গ্রাম সংগঠন বাগালা শাখায় সকল সদস্যের উপস্থিতিতে ৯ টা ৩০ মিনিটে মিটিং শুরু করেন। সেখানে তিনি সকল সদস্যের সাক্ষাৎকার নেন। সবার ব্যবসা দেখেন। সব সদস্যই তাদের নিজ নিজ উদ্যোগের ব্যাপারে আবেদ ভাইকে বলেন। তখন ২মিলিয়ন সিলিং(তানজানিয়ার মুদ্রা) ঋণ নেয়া একজন সদস্য আবেদ ভাইয়ের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি ঋণ নিয়ে একটা স্কুল করেছেন। ২০০জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন শিক্ষকের ঐ স্কুল মিটিংস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার হাঁটা পথ। আবেদ ভাই ঐ স্কুল পরিদর্শনে যেতে চান। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঐ পথ পাড়ি দিয়ে হেঁটে ঐ স্কুলে উপস্থিত হন আবেদ ভাই। সেখানে ক্লাস পরিচালনা দেখে তিনি মুগ্ধ হন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে অনেক আনন্দ পান। এরপর তিনি আমাকে এই ধরণের খাতে বেশী বেশী ঋণ দিতে বলেন। তার শিক্ষানুরাগীতার পরিচায়ক মন সেদিন আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করে। এই শিক্ষানুরাগী মানুষটির জীবনাদর্শ যতটাই সরল, ততটাই নিখুঁত। \ \ আবেদ ভাইয়ের তানজানিয়া সফরে বাগালা শাখার গ্রাম সংগঠনের সদস্যরা তাঁর সান্নিধ্যে আসতে পেরে অনেক খুশি হয়। তারা নিজেদের গর্বিত মনে করেন। অন্য শাখার গ্রাম সংগঠনের সদস্যরাও তাঁর সাথে সাক্ষাত করতে চেয়েছিল। কিন্তু সময় সল্পতায় তা আর হয়ে উঠেনি। আবেদ ভাইয়ের সাথে একদিনের গ্রাম সংগঠন পরিদর্শন ও আরএকদিনের মিটিং আমার জীবনের স্মরণীয় একটা ঘটনা। উক্ত সময়ে তিনি আমাকে কর্ম ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক নির্দেশনা দেন। তার প্রতিটি নির্দেশনায় সুবিধা বঞ্চিত মানুষের প্রতি তাঁর অনুভূতি স্পষ্টভাবে ধরা পড়ছিল। এই আমাদের আবেদ ভাই। তাঁর আদর্শ, কাজ, স্বকীয়তার জন্য তিনি অনন্য। তাঁর স্বাভাবিক জীবন ও সকলকে আপন করে নেয়ার গুণ আমাকে আরও অনেক উজ্জীবিত করে। কাছ থেকে তাকে দেখেছি কিছুটা সময় ধরে। তিনি আমার সাথে যথেষ্ট সহজভাবে কথা বলেছেন বলেই তাঁর কাছে সুন্দর পন্থায় নির্ধারিত এলাকার সমগ্র কার্য প্রণালী তাকে বর্ণনা করতে পেরেছিলাম। তাঁকে কাছ থেকে দেখে তাঁর সহজ জীবনধারার যে নির্দেশনা পেয়েছি তা-ই ব্যক্তি জীবন ও কর্মজীবনের সঙ্গী হয়ে গেছে। \ \ জীবন ২০১৩ সালের ১৮ আগষ্ট তারিখে নতুন দিকে মোড় নেয়। সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হই। এরই প্রেক্ষাপটে একই বছর ১ সেপ্টেম্বর স্বদেশে প্রত্যাবর্তিত হই আর একটি পা হারাই। কিন্তু আবেদ ভাইয়ের আদর্শ বরাবরই আমার মধ্যে ছিল। তাই ভেঙে পড়ি নি। নতুন করে আবার শুরু করি। ব্র্যাকের দেয়া কৃত্রিম পা সংযোজন করে নেত্রকোনা-১ অঞ্চলে এস.এস. (দাবি) হিসেবে কর্মরত আছি। এখনো আবেদ ভাইয়ের বলা কথা, তাঁর নির্দেশনা, তাঁর প্রতিটি বাক্য কানে বাজে। তাঁর জীবনের মূল্যবোধ, নীতি, আদর্শকে নিজের জীবনে প্রয়োগ করে পথ চলছি। আর এভাবেই চলতে চাই বাকি পথটা। আবেদ ভাই আমার কাছে একটা অঙ্গীকার। আবেদ ভাই একটা ভালোবাসা। তাঁর স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে নিজের জীবনের নতুন একটা ধারা তৈরী করব। একজন ব্র্যাক কর্মী হিসেবে এই আমার লক্ষ্য।

মোঃ জহুরুল ইসলাম

স্যার ফজলে হাসান আবেদ স্মরণে।

আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি স্যার ফজলে হাসান আবেদ স্যারকে ।স্যারের সাথে আমার মাঝেমধ্যে দেখা হতো তার নিজ বাসাতেই তাকে আমি সালাম দিলে ,স্যার মুচকি হেসে লাঠি হাতে হাত উঁচিয়ে আমার সালাম উত্তর দিতেন। স্যারের হাসি দেখে মনটা ভরে যেত । স্যার নিরহংকারী মানুষ ছিলেন ।আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি আমিন।

মোঃ ইউসুফ সরকার

স্যার ফজলে হাসান আবেদের অবদান

"মুক্তির মন্দির সোপান তলে, যার নাম লেখা রবে অশ্রুজলে" স্যার ফজলে হাসান আবেদ।তিনি ছিলেন অত্যন্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন মানুষ। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তিনি তার স্বপ্নগুলোকে কর্মে রূপান্তরিত করার জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ এবং দক্ষ মানুষ ছিলেন। আর এ কারণেই তিনি ব্র্যাককে পরিণত করতে পেরেছেন বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়ন সংস্থায়। বিশ্বব্যাপী গরীবের উন্নয়নে একটি প্রখ্যাত নাম ‘আবেদ’। তার মন পরে থাকতো দরিদ্র মানুষের উন্নয়ন ভাবনায়। গরীব মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর করতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। মানুষকে ভালোবাসার মতো মন ছিলো আবেদ ভাইয়ের। মানুষকে উঠে দাঁড়াতে তিনি তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আবেদ ভাই আর নেই। কিন্তু তিনি তার কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝেই রয়েছেন। ১৯৭২ সালে ৩৬ বছর বয়সে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন ফজলে হাসান আবেদ। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব দিকে একটি ছোট ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্প হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। এখন ব্র্যাকের ব্যাপ্তি বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, বিশ্বব্যাপী ১০ কোটিরও বেশি মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে সংস্থাটি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্ষুদ্রঋণ এবং সামাজিক উদ্যোগ নিয়েই মূলত কাজ করে ব্র্যাক। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং নেদারল্যান্ডসে শাখা অফিসসহ এশিয়া ও আফ্রিকার ১১টি দেশে কাজ করছে সংস্থাটি। স্যার ফজলে হাসান আবেদের স্বপ্ন ব্র্যাকের স্বপ্ন হয়েছে। তিনি সকল প্রকার শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি নারীদের উন্নয়নে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ছিলেন এবং ব্র্যাকের মাধ্যমে তিনি নারীদের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে তুলে আনেন। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর কারণ ছিলো ডায়রিয়া। স্যার ফজলে হাসান আবেদ সারাদেশে অত্যন্ত কার্যকর প্রচারণার মাধ্যমে এই রোগটি কাটিয়ে উঠতে অবিশ্বাস্য রকমের সহায়তা করেছিলেন।” “আজ জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানবিক সংকট মোকাবিলার দিকে সকলের মনোযোগ। এখন ব্র্যাক রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। আমি জানি, ব্র্যাক তার প্রতিষ্ঠাতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখবে।” স্যার ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশের উন্নয়নে, বাংলাদেশের প্রতিটি অঙ্গনে কোনো না কোনোভাবে অনবদ্য অবদান রেখেছেন। দেশের সর্বত্র তার পদচিহ্ন রেখে গেছেন। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশকে বুঝতে হলে আবেদকে বোঝা দরকার। আমরা যদি আবেদ ভাইকে ভুলে যাই তাহলে তা হবে নিজেদের জীবনকে ভুলে যাওয়ার মতো।” স্যার ফজলে হাসান আবেদকে সারা পৃথিবী উন্নয়ন জগতের এক মহানায়ক ও মহান ব্যক্তি হিসেবে স্মরণ করবে।অল্প কয়েকজনের মতো আবেদ স্যার একজন নীরব বিপ্লবী ছিলেন। যিনি তার সৃজনশীল এবং বিস্তৃত স্বপ্নগুলো বাস্তবে পরিণত করতে পেরেছিলেন। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে স্যার ফজলে হাসান আবেদ শুরু থেকেই শিকড়ের মানুষ, মাটির মানুষ হয়ে কাজ করেছেন সবার সাথে। ঘুরেছেন পথে পথে। খুব কাছ থেকে দেখতে চেয়েছেন দেশের সমস্যাগুলো। কীভাবে তা সমাধান করা যায়, তা নিয়ে আলাপ করেছেন, ভেবেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, শুনেছেন সবার ভাবনা। তিনি ইতিহাসের সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। তিনি যে কেবল ছুঁয়ে গেছেন তা নয়, তিনি গভীরেও গেছেন। তিনি কেবল প্রতিষ্ঠান তৈরি করেননি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা সিস্টেমটাও তৈরি করে গেছেন। তার বিদায়ে আমরা মর্মাহত। তার চলে যাওয়া একটি বিরাট শূন্যতা। শূন্যতা সামাল দেয়ার জন্য সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। উনি যে বোধ নিয়ে কাজ করে গেছেন উনার স্বপ্নের গভীরতাকে বাস্তবায়ন করতে তরুণ প্রজন্মকে কাজ করতে হবে। স্যার ফজলে হাসান আবেদ একজন অনুপ্রেরণার নাম৷ তার বিদায়ী আত্মার শান্তি কামনা করি।

Jyotirmoy das

স্মরণে আবেদ ভাই

আমি ব্র্যাক কর্মী হিসেবে নিজেকে গর্ববোধ করি কারন আবেদ ভাই যে মূল্যবোধের শিক্ষা দিয়ে গেছে সেটা বিরল উদহারন ব্র্যাক কর্মীদের জন্য আমি কোন পদে আছি তা ভাবার সময় নেই নিজের সততা ও স্বচ্ছতার মধ্যে ও অভিমত প্রকাশ এবং সৌজন্যতাবোধের, শ্রদ্ধার, লিঙ্গ বৈষম্য সকল সদাচরণ নিয়ে চলে বলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার আশা ব্যক্ত রাখি। ধন্যবাদ আবেদ ভাই আদর্শের মানব।

Sazzad Billah

Legend Always Stayed in Our Hearth

Sir Fazle hasaan Abed , Great Man Who Was Inspiration for Us .. He always thought for People. People`s happiness was his Happiness, Peopl`s sorrows was his sorrow .. His departure is an irreparable loss to the world .. Sir abed always be in our hearts ..

Tahmid Taazwar

অনুপ্রেরণায় স‍্যার ফজলে হাসান আবেদ ভাই

স‍্যার ফজলে হাসান আবেদ ভাই ছিলো গরীবের জন্য আলোর অগ্ৰদুত। তিনি রেখে গেছেন হাজার ও ব্র্যাক কর্মীর অদূর ভবিষ্যত। তাঁর জন্য আজ অনেক বেকার ছাদে পেয়েছে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই। তিনি অনেক গরীব পরিবার কে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য আলোর অগ্ৰদুত হয়েছেন। যেমন আমাকে দিয়েই বলি যখন আমার পরিবার আচচ্ছল হয়ে পড়ে ছিলো বাবার পক্ষে আমার খরজ দেওয়া সক্ষম ছিল না খুব অভাবে দিন যাচ্ছিল ঠিক সেই সময় ওনার প্রতিষ্টানে চাকরি দিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠানে চাকরি টা পেয়েছি বলেই মাস শেষে বেতন টা বাবা মায়ের হাতে দিয়ে পারি। তাদের কে একটু কষ্ট লাঘব করতে পারছি। এটুকু আমার মতো গরীব ছেলের পক্ষে অনেক উপকার। স‍্যারের প্রতি রইল আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। আল্লাহ পাক উনার সেবাদাতা করুন।স‍্যারের অনুপ্রেরণায় চলার চেষ্টা করছি।স‍্যারের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

MD IKBAl HOSSEN

লুব্ধক

তিনি ছিলেন শতাব্দীর উজ্জ্বলতম নক্ষত্র "লুব্ধক " যার উজ্জ্বলতায় আলোকিত হয়েছে অমাবস্যার অন্ধকার।

স্পর্শী টিটব

Message of condolence

It is with profound sadness that MASC Foundation Mozambique heard of the death of Sr. Fazle Abed, a great man who has served as an inspiration for Civil Society organizations not only in Asia but across the African continent. In this moment of sorrow, we stand firm in the belief that the best way to honor Sr.Fazle, will be to give continuation to his work in organizations, such as our own, that have emerged and grown based on his wisdom and vision. Sr. Fazle, is irreplaceable but his legend and work will live on forever. (MASC Foundation, Mozambique)

MASC Foundation - Mozambique

আবেদ স্যারের অবদান

স্যারের অবদান উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম নিয়ামক।

কাজল দাশগুপ্ত

Abed

We met Abed on our first trip the Bangladesh many years ago. Despite having never met us, he offered us his home to stay in based on our connection to the Khan family (Simone Sultana is my sister in law). This is an example of his generosity of spirit. What a kind, giving, humble and highly intelligent man. I was lucky enough to see him and his family in London about a year ago. It was lovely to reconnect. He was a special man who has left a legacy. He will be missed but his memory will live on. Lesley and David

Lesley Feinstein

tribute to Sir Abed

Sir Abed work on addressing some of the plant`s hardest challenges - inequality and poverty, have been incredibly inspiring and breakthrough for development actors. You raised bar so high and left with a great legacy and inspiration for us to follow.

Emrah Engindeniz

Farethewell Sir Abed

You impacted my life with your sacrifices and humility. You were a true representation of leadership. I will always remember you, and will do whatever I can to keep your legacy strong in whatever way I can.

Anne Kazungu